নবজাতক বাচ্চা মারা যায় কেন - নবজাতক হওয়ার পর করণীয়

আজকে আমাদের বিষয়টি হল নবজাতক বাচ্চা মারা যায় কেন সে বিষয়ে আমরা আজকের বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো নবজাতক বাচ্চার মারা যায় কেন এবং নবজাতক বাচ্চা হওয়ার পর করণীয় কি সেই বিষয়গুলো আজকে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে আলোচনা করব কারণ একজন মা বাবা অনেক কষ্ট এবং মেহনত করার পর একটা বাবা ডাক শোনার জন্য একজন সন্তানকে দুনিয়াতে
নবজাতক বাচ্চা মারা যায় কেন - নবজাতক হওয়ার পর করণীয়
 নেওয়ার চেষ্টা করে আল্লাহ তা'আলা মানুষকে বানিয়ে দুনিয়াতে বাবা-মার মাধ্যমে দুনিয়াতে পাঠায় এই বাবা ডাকটি শোনার জন্য বাবা ব্যাকুল হয়ে থাকেন মাও ব্যাকুল হয়ে থাকে যদি এই সন্তান জন্মের আগেই মারা যায় তাহলে কতই না দুর্ভাগা ওই মা বাবা এবং কতই না কষ্ট পাই সেই মামা গুলো আজকে সে বিষয়ে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি তুলে ধরব

নবজাতক বাচ্চা মারা যায় কেন=====

নবজাতক শিশুর মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো অপূরণিত জন্ম অথবা জন্মগত সমস্যার কারণে অথবা শ্বাসকষ্ট সংক্রমণ এছাড়াও জন্মকালীন জটিলতা এবং জন্মগত অস্বাভাবিকতাও জন নবজাতকের মৃত্যুর জন্য দায়ী যে যে কারণগুলো নবজাতক মৃত্যু কারণ তার মধ্যে হলো অপরিণত জন্ম অর্থাৎ বিশ্লেষণ করলে ৩৭ সপ্তাহের পূর্বে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয় জন্মের সময় যদি কোন সমস্যা থাকে কিছু শিশুর জন্মগত কিছু শারীরিক সমস্যা থাকে যা তার মৃত্যুর কারণ অনেক সময় শ্বাসকষ্টের কারণে বাচ্চা মারা যায় জন্মের সময় শ্বাসকষ্ট বা জন্মের পর পরই শ্বাসকষ্টের যদি কোন

 সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে নবজাতক শিশু মারা যেতে পারে সংক্রমণের কারণেও মারা যেতে পারে নবজাতক শিশুদের সংক্রমণ খুব সহজেই ছড়াতে পারে আর এর কারণে তার অপমৃত্যু হতে পারে এছাড়াও জন্মের সময় অনেক মায়ের সমস্যা হতে পারে বা বাচ্চার ও সমস্যা হতে পারে প্রসবের সময় বিভিন্ন ধরনের কঠিনতা দেখা দিতে পারে যার কারণে শিশু মৃত্যু বরণ করতে পারে এছাড়াও ওজন কম হওয়ার কারণে বাচ্চা মারা যেতে পারে অর্থাৎ যখন কোন বাচ্চার ওজন কম হয়ে যাবে তখন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না কমে যাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে যার কারণে তার মৃত্যু হতে

 পারে এজন্য যদি আপনার সন্তানকে আপনি বাঁচিয়ে রাখতে চান অর্থাৎ কোন মা যদি তার সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই গর্ব অবস্থায় মায়ের সঠিক যত্ন নিতে হবে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উপহার দিতে হবে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল দুধ কলা ইত্যাদি ফলমূল খাওয়ানোর মাধ্যমে মায়ের যত্ন নেওয়া কোন ভারী কাজ করতে না দেওয়া এবং যথেষ্ট মানের ভালো জায়গায় রাখা এছাড়াও বাচ্চার যখন প্রসব হবে তখন ওই বাচ্চাকে ভালো জায়গাতে রাখা এবং ওই মাকে এমন একটা হসপিটালে রাখা যে হসপিটালটা স্বাস্থ্য সম্মত

এছাড়াও নবজাতক যে যে কারণে মারা যায় সে কারণগুলো হলো===

আমাদের দেশে কয়েক বছরে নবজাতকের মৃত্যুর হার খুবই বেড়ে চলেছে এই হার বাড়ার কারণ হলো জন্মের সময় শ্বাসরুদ্ধ হওয়া অথবা জীবাণু নিষ্ক্রিয় হওয়া পতনের মাধ্যমে রোগ বৃদ্ধি পাওয়া কম ওজনের মাধ্যমে এ সমস্ত সমস্যা এর কারণে বাচ্চা বেশি মারা যায় বাংলাদেশ স্বাস্থ্য জরিপ দেশের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সবচেয়ে বড় জরিপ প্রকাশ করে 2017 থেকে 18 সালে জরিপে বলা হয়েছে প্রায় এক হাজার শিশু জন্ম নিলে ২৮ দিন বয়স হওয়ার পূর্বেই ৩০ জন করে বাচ্চা মারা যাচ্ছে ২০১৪ সালে হাজারে দুইজন করে নবজাতক শিশু মারা যায় আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের মাটি ও শিশু
নবজাতক বাচ্চা মারা যায় কেন - নবজাতক হওয়ার পর করণীয়
 স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক িন তিনি জানান যদি নবজাতককে বাঁচানো যেতে পারে তাহলে তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট উপায় এ ব্যাপারে সরকারকে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে এছাড়াও আপনি জানলে অবাক হবেন আগের তুলনায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার সামান্য কিছু কমেছে প্রতি হাজার জন্মে এখন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪৫ যা গত বছর ছিল ৪৬ যদি এই সমস্ত মৃত্যুর হার কি কমাতে চান তাহলে অবশ্যই বাচ্চাদেরকে স্বাস্থ্যসম্মত জায়গায় লালন-পালন করতে হবে এবং খেয়াল করতে হবে তবেই এই জায়গাগুলো থেকে বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব

নবজাতক হওয়ার পর করণীয়===

এখন আমি আপনাদেরকে বলব নবজাতক হওয়ার পর কি কি করনীয় রয়েছে বা কোন কোন কাজগুলো করার মাধ্যমেই নবজাতককে আপনি ভালো রাখতে পারবেন চলুন সে বিষয়গুলো আমরা এখন সুন্দরভাবে জেনে আসি নবজাতক হওয়ার কিছুক্ষন পরে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বেশি হলো নবজাতকের যত্ন সাথে সাথে মায়ের যত্ন এবং ইসলাম ধর্মীয় কিছু সামাজিক কাজ রয়েছে সেগুলো পালন করা নবজাতকের জন্মের পরে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো কারণ মায়ের বুকের দুধের মত কোন কোন জিনিসের পুষ্টি নেই এছাড়াও বাচ্চার জন্য মায়ের দুধ একটি পুষ্টিকর উপযুক্ত খাবার এরপরের যত্ন হলো

 নাভির যত্ন করা নবজাতকের নাভি রযু কাটার পর ভালোভাবে সেটাকে পরিচ্ছন্নতা রাখা এবং শুকাতে হবে কোন প্রখর সংক্রমণ যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ আপনাকে নিতে হবে এরপরে গোসল সাধারণত আমরা জানি জন্মের 72 ঘন্টা পর বাচ্চাকে গোসল করাতে হয় তবে এটাও খেয়াল করতে হবে যে বাচ্চার যেন ঠান্ডা লেগে না যায় যদি ঠান্ডা লাগে তারপরে তার সমস্যা হতে পারে এরপরে বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করানো নবজাতকের জন্য

 অবশ্যই নরম এবং আরামদায়ক কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং এই কাপড় গুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সুন্দরভাবে ধুয়ে নিতে হবে এরপরে ঘুমের যত্ন নবজাতকের জন্য খুবই বেশি পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন তাদের এমন একটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক জায়গাতে রাখতে হবে যেন তাদের ঘুমে কোন সমস্যা না হয় ডাইপার ব্যবহার করা ড্রাইপার নিয়মিতভাবে নবজাতকের পরিবর্তন করা উচিত যাতে করে তার ত্বক সুন্দর থাকে সুষম থাকে এছাড়াও ঘন ঘন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ডাক্তারের কাছে দেখাতে হবে যদি কোন সমস্যা হতে পারে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে বিশ্রাম যে মা প্রসব

 করে ওই মায়ের জন্য অনেক বিশ্রামের প্রয়োজন হয় মায়ের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্রাম খুবই দরকার বিশ্রাম নিলে সে আবার আগের জায়গাতে ফিরে যেতে পারে এজন্য বিশ্রাম নির্দিষ্ট করা সুষম খাদ্যের ব্যবহার করা মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া উচিত কারণ মা যদি পুষ্টিকর খাবার খায় তা তবে এই শিশু বুকের দুধ তার প্রয়োজন অনুযায়ী পাবে এছাড়া পাবে না এছাড়াও মানসিক সামর্থন দেওয়া মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা এবং তাকে সান্তনা দেওয়া সহায়তা করা

এছাড়াও ইসলাম ধর্মে যেই শিশুগুলো জন্মগ্রহণ করে তাদের জন্য ইসলাম ধর্মে কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন জন্মের পরে শিশুর ডান কানে আজান এবং বাম কানে একামত দেওয়া রাসুলের ভাষ্য অনুযায়ী সুন্নাহ

তাহিনিক 
ইসলামের কাহিনী বলা হয় নবজাতক শিশুর মুখে মধু বা খেজুরের কিছু অংশ কারো মুখে অর্থাৎ একজন ভালো মানুষের মুখে জীবানোর পর সে রস টা বাচ্চার মুখে দেওয়া
সাদাকাএবং আকিকা 
নবজাতকের মাথায় যে চুল থাকে ওই চুলকে মুন্ডানোর পরে শুকানোর পরে সেটিকে ওজন দিয়ে স্বর্ণ অথবা রুপার দাম অনুসারে যতটুকুন ওজন হয় ওই ওজন এটি মিসকিনদের মাঝে দান করে দেওয়া সুন্নাহ এবং আকিকা দেওয়া এটিও রাসুলের ভাষ্য অনুযায়ী সুন্নাত
এরপরে বাচ্চাদের একটি সুন্দর নাম রাখা
 যে নাম শুনলে সকলের ভালো লাগবে এমন একটি নাম রাখা যে নামের অর্থ সুন্দর
সুন্নাতে খাতনা
 পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে সুন্নতে খাতনা করাতে হয় যা রাসুলের ভাষ্য অনুযায়ী সুন্নাত সাধারণত জন্মের ৩ বছর বয়সের মধ্যে করা ভালো

শেষ কথা

দর্শক এতক্ষণ পর্যন্ত আপনার একটি আর্টিকেল পড়লেন যদি আপনাদেরকে এ বিষয়গুলো ভালো লাগে আমাদের তথ্য গুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে দিয়ে রাখবেন আমরা নিত্য নতুন তথ্য আপনাদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ সকলের শুভ কামনা করে শেষ করছি

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪